নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচ বাকি থাকতে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারদের অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) ৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও নাঈম শেখের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে জয় পায় টিম বাংলাদেশ। আর তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।

পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টির চতুর্থ ম্যাচে ৯৪ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই আক্রমণাত্মক হয়ে আউট হন ওপেনার লিটন দাস। তার ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। কোল ম্যাককঙ্কির বলে ফিল অ্যালেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাকিব। ৮ রান করে ফেরেন তিনি। প্যাটেলের বলে স্টাম্পড হন এই অলরাউন্ডার। এরপর রান বুক খোলার আগেই বিদায় নেন মুশফিক। এজাজ প্যাটেলের একই ওভারে এই দুই অভিজ্ঞ ফিরলে কিছুটা চাপে পড়বে বাংলাদেশ। ৩২ রানে ৩ টপ অর্ডার ফেরার পর ইনিংস মেরামতের দিকে মনোনিবেশ করেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

অপর প্রান্তে তার সঙ্গী ছিলেন ওপেনার নাঈম শেখ। কিউই বোলারদের বিরুদ্ধে একসঙ্গে খেলতে থাকেন দুজনেই। একক ডাবলসে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন দুইজন। তবে ভালো খেলতে থাকা নাঈমকে রানআউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নিতে হয়। দলের পক্ষে ২৯ রান করেন নাঈম। আর সর্বোচ্চ ৪৩ রান এসেছে মাহমুদউল্লাহর ব্যাট থেকে। এছাড়া আফিফ হোসেন করেন ২১ রান। সফরকারী দলের হয়ে এজাজ প্যাটেল নেন ২ উইকেট। এছাড়া ১ উইকেট নিয়েছেন কোল ম্যাককনচি। এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে টাইগার বোলারদের বোলিং তোপে 19.4 ওভারে মাত্র 93 রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস। ফলে সিরিজ জিততে টাইগারদের লক্ষ্য ৯৪ রান।

ব্যাটিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি ব্ল্যাক ক্যাপসরা। রান বুক খোলার আগেই কিউই শিবিরে আঘাত হানেন টাইগার স্পিনার নাসুম আহমেদ। ইনিংসের শুরুতে রচিন রবীন্দ্রকে শূন্য রানে ফিরিয়ে আনেন এই ঘূর্ণি জাদুকর। এরপর তার হাত ধরেই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় টিম বাংলাদেশ। এবার তার শিকার ফিন অ্যালেন। নাসুম মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরত পাঠান। অ্যালেনের ব্যাট থেকে ৮ বলে ১২ রান। টম ল্যাথাম এবং উইল ইয়ং শুরুর ধাক্কা সামলাতে থাকেন। কিন্তু এই জুটিকে বেশিদূর যেতে দেননি মেহেদী হাসান।

ফেরান অধিনায়ক ল্যাথামকে। ২৬ বলে ২১ রান আসে ল্যাথামের ব্যাট থেকে। কিন্তু ইয়ং অন্য প্রান্তে বেঁচে গেলেও, অন্যরা উইকেটে ও বাইরে মিছিলে যোগ দেয়। 22 গজে, নাসুম আহমেদ আবার ঘূর্ণি ঘূর্ণি নিয়ে আসেন। কিউই ব্যাটসম্যানদের জন্য আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে। এই স্পেলে তিনি পরপর দুই উইকেট নিয়ে দর্শকদের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দেন। হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েছে। তার কাছে ফিরে আসেন হেনরি নিকোলস এবং গ্র্যান্ডহোম। নিকোলস করেন ১ রান। আর শূন্য রানে ফিরে যান গ্র্যান্ডহোম।

 

নাসুম মাত্র ৪ ওভার বল করে ২ মেডেন দিয়ে ১০ রানে ৪ উইকেট নেন। এরপর মুস্তাফিজ ও সাইফুদ্দিনের বোলিংয়ে বিভ্রান্ত হয় কিউইরা। শেষ পর্যন্ত আর কোনো ব্যাটসম্যানই দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পারেননি। মাত্র তিন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্ক পার করতে পেরেছেন। আর তাতে মাত্র ৯৩ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। কিউইদের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন উইল ইয়ং। বাংলাদেশের পক্ষে নাসুম ৪টি, মুস্তাফিজ ৪টি উইকেট নেন। এছাড়া সাইফুদ্দিন ও মেহেদি নেন ১টি করে উইকেট।

আরও পড়ুনঃ সাকিবের র‍্যাংকিং উন্নতি

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *