ডেস্ক রিপোর্ট :- তার নাম তুষার কান্তি সাহা সিলেটে চাকরি করেন। তিনি বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন। বাংলাদেশে কাজ করলেও তার বাড়ি ভারতে। সরকারের একটি দায়িত্বশীল মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিনি কীভাবে কাজ করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ওই কর্মকর্তা অবৈধভাবে ভারতে যাতায়াত করেন। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সংসদীয় কমিটিতে লিখিত অভিযোগ উঠেছে। সংসদীয় কমিটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবকে। সচিব ও একজন যুগ্ম সচিব তদন্ত পরিচালনা করেন।
ওই তদন্তে তুষার কান্তি সাহাকে দোষী সাব্যস্ত বা খালাস করা হয়নি। শ্রমসাধ্য পদ্ধতিতে তদন্ত চালানোর বিষয়টি সংসদীয় কমিটি আমলে নেয়নি। এ কারণে সচিবকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। সচিব না পারলে অন্তত অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার কাউকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সচিবকে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে রোববার সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির একাদশ বৈঠকে কমিটির সভাপতি ড. একবর হোসেনকে বলেন, অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা যেতে পারে। একজন সরকারি কর্মকর্তা কীভাবে অবৈধ পাসপোর্ট নিয়ে অন্য দেশে বসবাস করে এসব বিষয়ে তদন্ত করতে পারেন? আমরা সঠিক তথ্য পেতে আবার তদন্ত করতে বলেছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় কমিটির সদস্য সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, এনামুল হক, মোঃ আবু জাহির, রেজওয়ান আহমদ তৌফিক, মোঃ ছলিম উদ্দিন তরফদার, শেখ সালাহ উদ্দিন, সৈয়দ আবু হোসেন ও রাবেয়া আলিম প্রমুখ। অংশগ্রহণ করেছে মহাসড়ক বিল 2021 সম্পর্কে বৈঠকে, যা ইতিপূর্বে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত হয়েছিল এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন ও সংসদীয় মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিবরা। এ বিষয়ে বিআরটিএ ও বিআরটিসির দুই চেয়ারম্যান পদ্মা বহু সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এ সময় টানেল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীসহ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।