ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক দাবি করেছেন, বেশি চাল খাওয়ার কারণে চালের দাম বেড়েছে, এমন কথা তিনি কখনও বলেননি। শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ উপ-কমিটি আয়োজিত এক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্যের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জলবায়ু সম্মেলন বা কপ-২৬ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটি এই সেমিনারের আয়োজন করে। এর আগে চালের সংকট কমাতে দেশের মানুষকে ‘কম ভাত খাওয়ার’ পরামর্শ দেন কৃষিমন্ত্রী। সেই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে গত বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘ভুলভাবে’ উদ্ধৃত করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
পরদিন বন ও পরিবেশ উপ-কমিটির সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের কথা বলেছিলাম। ধানের উচ্চমূল্য বা চালের দাম নিয়ে আমি কখনো কিছু বলিনি, এই প্রসঙ্গটি কখনোই তুলে আসিনি। তিনি বলেন, একটি ভুঁইফোড় পত্রিকার খবরে আমি বলেছি মানুষ বেশি ভাত খায় বলেই চালের দাম বেড়েছে। এমন কথা কখনো বলিনি। এই কথাটা আমি আনিনি। জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরশীল নয়।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় বৈদেশিক সাহায্য ছাড়া আমরা নিজেরাই মোকাবেলা করতে পারব। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার জলবায়ু পরিবর্তন কৌশলগত পরিকল্পনা ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, ৭০০ কোটি টাকার জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাদের বাস্তবায়ন সফলভাবে এগিয়ে চলেছে। মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দেশের কৃষি খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এই ক্ষতির হাত থেকে কৃষিকে রক্ষা করতে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি।
বন ও পরিবেশ উপকমিটির সভাপতিত্বে প্রফেসর খন্দকার বজলুল হক এবং বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর এএসএম মাকসুদ কামাল, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর সাদেকা হালিম, বাংলাদেশ সেন্টার ফর অ্যাডভান্সডের নির্বাহী পরিচালক ড. আলোচনায় অংশ নেন স্টাডিজ ড. আতিক রহমান, জনকণ্ঠের চিফ রিপোর্টার কাওসার রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন।