ঢাকা :25 আগস্ট 2017 এর পর, মিয়ানমারে সামরিক নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং ধর্ষণের মুখে আরও হাজার হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া লাখ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ পরিকল্পনার কথা জানান মহসিন। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা গত চার বছর ধরে কক্সবাজারে অস্থায়ী বসতিতে বসবাস করছেন।

ইতিমধ্যে কয়েক দফায় প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার দ্বীপে তাদের নিরাপদ আবাসনের ব্যবস্থা করেছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব বলেন, বাংলাদেশ সরকার আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের সমর্থনে জাতিসংঘের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করবে, যার ফলস্বরূপ তারা (জাতিসংঘ) ভাসান চরে সব রোহিঙ্গাদের সহায়তা করবে। বিষয়ে সহযোগিতা করবে। এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা আশা করছি আগামী ৩ মাসের মধ্যে ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যেতে পারব।

সেখানে এক লাখ মানুষের বসার ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ায় রোহিঙ্গাদের জন্য জাতিসংঘ যেভাবে সহযোগিতা করছে, ভাসানচরে তা হয়নি। কিন্তু সরকার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আবাসনের জন্য ভাসানচর প্রস্তুত করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছে। মোঃ মহসিন বলেন, জাতীয় সংঘ এখন কক্সবাজার, টেকনাফ ও উখিয়ার মতো ভাসানচরেও সম্পৃক্ত হবে। এটি এমওইউ এর সারমর্ম। তিনি বলেন, এটা (সম্মিলিত স্মৃতি) লিগ অব নেশনস ভাসানচরকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য, যা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে।

এখন হয়ে গেছে, ইনশাআল্লাহ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আগামী শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক সই হবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ত্রাণ সচিব এবং বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ফন ডার ক্লাউ এতে স্বাক্ষর করবেন। 25 আগস্ট, 2017 এর পর, মিয়ানমারে সামরিক নিপীড়ন, অগ্নিসংযোগ, হত্যা এবং ধর্ষণের মুখে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় চেয়েছিল।

আন্তর্জাতিক দাতা গোষ্ঠীগুলো শুরু থেকেই এই বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য সহায়তা দিয়ে আসছে। অন্যদিকে, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর আশ্বাস দিলেও প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে মিয়ানমার সরকারের কোনো ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *