প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমি সরকারে এসে যত ভালো কাজ করেছি সব করার জন্য অনেক মামলা নিয়েছি। কিন্তু তবুও থেমে যাইনি। আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে সম্পন্ন হওয়া ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম ৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করছি এবং পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ৭৭৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংযোজনে সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রতিটি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে আমাদের অনেক খরচ হয়। কিন্তু আমরা কম খরচে সবাইকে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেশি হলেও মানুষের জন্য ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ২৩ হাজার ২৩৫ মেগাওয়াট। বাংলাদেশ 100% বিদ্যুতায়নের দিকে আরও একটি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে উন্নয়ন কাজের যথেষ্ট ক্ষতি হলেও বাংলাদেশ কারো কাছে হাত পাতছে না।
২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে আমরা কাজ করছি। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান নিয়ে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব মানুষের জন্য করোনার ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে যত টাকাই লাগবে সরকার তা ব্যয় করবে। দেশের. এ সময় টিকা দেওয়া সত্ত্বেও সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিকা দেওয়ার পরও করোনা সংক্রমণ হতে পারে। এজন্য সবাইকে মাস্ক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ সময় দেশকে দাসত্বের দিকে ঠেলে কেউ যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে সেদিকে নজর রাখার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে করোনাভাইরাসের কারণে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাংলাদেশ কারো কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে না বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুনঃ নদী ভাঙ্গনের আতঙ্কে তিস্তাপাড়ের মানুষের দিন কাটছে।
One Response