প্রবাস :-
হাবিবা আক্তার নামে এক বাংলাদেশি নারীকে ভালো বেতনের চাকরির জন্য সৌদি আরবে বিক্রি করা হয়েছে। নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা এবং দেশে ফেরার দাবি জানিয়ে ভিকটিমটির একটি মর্মান্তিক ভিডিও বার্তা পাওয়া গেছে। পাচারকারীরা আইনের আশ্রয় নেওয়ায় নিহতের পরিবারকে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্যকে আটক করেছে র্যাব। আমাকে বিক্রি করেছে, নির্যাতন করছে, আমি আমার দেশে ফিরতে চাই, আমার ২ সন্তানের কাছে, এটাই সৌদি আরবে পাচারের শিকার বাংলাদেশি হাবিবার আকাঙ্ক্ষা। গত ৭ জুন ইফতি ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংস্থা হাবিবাকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে গৃহকর্মী সহায়তা দিতে পাঠায়। ৭ দিন পর তার পরিবারের কাছে পাঠানো একটি ভিডিওতে হাবিবা জানান, তাকে বিক্রি করা হয়েছে।
যেখানে তাকে নির্মম নির্যাতন করা হচ্ছে। হাবিবা বলেন, তারা আমাকে বিক্রি করে দিয়েছে। তুমি আমাকে বাঁচাও। হাবিবা কাঁদছে যে আমি আমার সন্তানকে দেখতে চাই। হাবিবার দুস্থ পরিবার ইফতি ইন্টারন্যাশনালের কাছে গেলে ৪ লাখ টাকা দাবি করা হয়। আইনের আশ্রয় নিলে হাবিবাকে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। মেয়ের মা বিছানায়। হাবিবার ছোট দুই সন্তান মাকে ফিরে পেতে চায়। হাবিবার চোরাচালান মামলায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। সংগঠনটি বলছে, গ্রেফতারকৃতরা উচ্চ বেতনের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলা থেকে মধ্যপ্রাচ্যে নারীদের পাচার করেছে। র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া ডিরেক্টর কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আগেও তারা একই কাজ করেছে দেখেছি। ইতিমধ্যে তাদের নামে মামলা রয়েছে। হাবিবাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বায়রা অফিসে আবেদন করেছে পরিবার। ব্র্যাকের মতে, গত ৬ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে ১৫ হাজার বাংলাদেশি নারী মানব পাচারকারীদের হাতে নির্যাতিত হয়েছেন।