দিনাজপুর :- দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দিতে গিয়ে দুই নারী ও তিন পুরুষকে তুলে নিয়ে গেছে দুই জনকে। পরে স্থানীয়রা তাদের পুলিশে সোপর্দ করে। বুধবার সন্ধ্যায় চিরিরবন্দর উপজেলার বেকিপুল বাজারে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম (৩৫) ও একই উপজেলার উত্তমপাড়ার যতীশ চন্দ্রের ছেলে নিতাই রায় (৩০)। প্রতারণার শিকাররা হলেন, ঢাকার কামরাঙ্গিচর এলাকার ৫১ নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে লিটন মুন্সি (৫০), কালকিনি উত্তর রঞ্জনপুর গ্রামের স্বপনের ছেলে হৃদয় হোসেন (২০)। মাদারীপুর জেলার উপজেলা, ঢাকার দোহার থানার বিক্রমপুর। ওই গ্রামের সোহেলের মেয়ে ময়না (২০), চাঁদপুর জেলার মতলবপুর থানার একলাছপাড়া গ্রামের আব্দুল আজিজের স্ত্রী সীমা (৪০)। একজনের নাম ও পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দুই নারী ও তিন পুরুষ বিভিন্ন মূল্যবান জিনিস বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া এলাকায় শামীম নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আসে। ডলার এবং রুক্ষ পাথরের মূর্তি সহ। আসে বুধবার বিকেলে মোটরসাইকেলে ছয়জন ওই বাড়িতে গিয়ে নিজেদের গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয় দেন। এ সময় অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ওই পাঁচজনকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায় তারা। এছাড়া তারা ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলা সত্ত্বেও চিরির বন্দর উপজেলার বেকি পুল বাজার এলাকায় ছয়জনের মধ্যে চারজন মোটরসাইকেলসহ আটকে যায়। বাকি দুজনও পালানোর চেষ্টা করে।

এ সময় ভুক্তভোগীরা দুই মোটরসাইকেল আরোহীকে ধরে ফেলে। পরে স্থানীয়রা তাদের চিরির বন্দর থানায় সোপর্দ করে। চিরির বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, স্থানীয়রা দুইজনকে আটক করে চিরির বন্দর থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে খানসামা থানায় সোপর্দ করে। খানসামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে দুই নারী ও তিন পুরুষ এখানে ডলার, প্রতিমা বা এ জাতীয় কিছু কিনতে আসেন। এখানে এসে প্রতারিত হয়েছেন তারা। যদিও তারা বলছেন গরু কিনতে এখানে এসেছেন। কিন্তু এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। এ ঘটনায় ওই দুইসহ আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *