খুলনা প্রতিনিধি:

খুলনার ৫ উপজেলার ৩৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ২১টিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪ জন। অপর একটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র ও রিটার্নিং কর্মকর্তারা জানায়, কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিয়াউর রহমান, বাগালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আব্দুস সামাদ গাজী, মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহনেওয়াজ শিকারী, মহারাজপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মো. দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নুরুল ইসলাম সরদার, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী খদির আলী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র সাব্বির আহমেদ, দাকোপ সদর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিনয় কৃষ্ণ রায়, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মিহির মণ্ডল, সুতারখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মাসুম আলী ফকির, কামারখোলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের পঞ্চানন কুমার মণ্ডল, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. তিলডাঙ্গা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র জালাল উদ্দিন গাজী, বাজুয়া ইউনিয়নে আওয়ামী। লীগের মানস কুমার রায়, বাণীশান্তা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সুদেব কুমার রায় নির্বাচিত হয়েছেন।

এর আগে দাকোপ উপজেলার লাউডোব ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ যুবরাজ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র আসলাম হালদার, বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শেখ মো. আসাবুর রহমান, আমিরপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জিএম মিলন নির্বাচিত হয়েছেন। যোগীপোল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন নির্বাচিত হন।

পাইকগাছা উপজেলার সোলাদানা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের মো. আব্দুল মান্নান গাজী, রাড়-লী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবুল কালাম আজাদ, গাড়িখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবদুস সালাম, গদাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শেখ জিয়াদুল ইসলাম জিয়া, চাঁদখালী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শাহজাদা মো. আবু ইলিয়াছ, দেলুটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের রিপন কুমার মণ্ডল, লতা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কাজল কান্তি বিশ্বাস, লস্কর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কে এম আরিফুজ্জামান, কপিলমুনি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মো. কাওছার আলী জোয়াদ্দার নির্বাচিত হন।

কয়রা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হযরত আলী জানান, ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের কারণে কয়রা সদর ইউনিয়নের ৪ নম্বর কয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের নির্বাচন বন্ধ রয়েছে। সে কারণে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদের ফলাফল স্থগিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *