ঢাকা:-
উদ্বোধন বানচালের ষড়যন্ত্র, সাবধান!পদ্মা সেতু উদ্বোধনকে ঘিরে নাশকতার চেষ্টা হতে পারে উল্লেখ করে তিন সেনাপ্রধানসহ সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। “আমাদের কাছে তথ্য আছে,” তিনি বলেন, “যা আমাদের পক্ষে উদ্বোধন করা অসম্ভব করে তুলবে।” বিভিন্ন জায়গায় আগুন, সবকিছু রহস্যময়। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার দিকে মনোযোগ দিতে হবে। বুধবার (১৫ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) ৩৬তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিতদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি নিজেও গুলি ও বোমার শিকার হয়েছি। ঈশ্বর আমাকে রক্ষা করেছেন. হয়তো আল্লাহ আমার সাথে কিছু করবেন, ‘এই কারণে’। দেশকে অভিশাপমুক্ত করতে সেই ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। যার কারণে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে নারী সদস্য নিয়োগ শুরু করেছি। জাতির পিতা পুলিশে নারী সদস্য নিয়োগ শুরু করেন। আমরা সেভাবেই দেশ গড়তে চাই। আমরা ভৌগোলিক সীমানায় ছোট হতে পারি, কিন্তু জনসংখ্যায় বড়। আমরা বড় হব’। বিশ্বে মর্যাদা নিয়ে হাঁটবো। আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা এবং বাস্তবায়ন করে এগিয়ে যাওয়াই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, সাধ্যমতো এসএসএফকে আধুনিক করেছি। ‘অন্যান্য বাহিনীকেও আধুনিক করার পদক্ষেপ নিয়েছি’। প্রতিটি বাহিনীকে ‘মিলিটিজম’, ‘সন্ত্রাসবাদ’ মোকাবেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ‘যার কারণে আমি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি’। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ ও সচেতন হতে হবে।
প্রযুক্তি যেমন উন্নয়নের দ্বার উন্মুক্ত করে, ‘এটি সন্ত্রাসবাদ ও অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের জন্য সুযোগও খুলে দেয়’। বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে হবে। সব সেনাপ্রধানের উচিত এই উদ্যোগ নেওয়া। সরকারপ্রধান বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে’। হায়, আমাদের একজন খ্যাতিমান লোক আছে, যার কাছে আমি সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছি। যে ডাঃ ইউনূস প্রতারণা করেছেন’। তিনি ক্লিনটনকে ‘ফাউন্ডেশনে 300,000 ডলার অনুদান, হিলারিকে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি’ বলে ডাকেন। হিলারিও আমাকে ডেকেছে। আমার কাছে ধরনা, আমি তাকে আইনের কথা বলেছি।’ বিশ্বব্যাংককে বারবার মেইল করে বলা হয়, দুর্নীতি আছে। আমি বললাম- ‘দুর্নীতি প্রমাণ করতে হবে। আমরা এটা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। ‘পরে এটি মিথ্যা প্রমাণে পরিণত হয়েছে। কিন্তু ইউনূসের প্ররোচনায় বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন থেকে সরে আসে। আমরা বলেছিলাম, নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, আমরা করেছি।